হাসপাতালে করোনা নেগেটিভ, বিমানবন্দরে পজিটিভ; বিপাকে প্রবাসী যাত্রীরা

কর্মস্থল সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য বেসরকারি হাসপাতালের করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে বিমানবন্দরে এসে চরম বিপাকে পড়েন সফিক সিরাজ নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশী যাত্রী। বিদেশ যাওয়ার আগের দিন রাজধানীর উত্তরা এলাকায় মা ও শিশু (আইসিও) নামে একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট নেওয়া হয়। যাত্রী সফিক জানান, করোনা পরীক্ষায় ওই হাসপাতালের দেওয়া নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা হয়। এসময় বিমানবন্দর ল্যাবে করোনা পরীক্ষায় দেহে পজিটিভ শনাক্ত হয়।

কর্মস্থল সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য বেসরকারি হাসপাতালের করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে বিমানবন্দরে এসে চরম বিপাকে পড়েন সফিক সিরাজ নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশী যাত্রী। বিদেশ যাওয়ার আগের দিন রাজধানীর উত্তরা এলাকায় মা ও শিশু (আইসিও) নামে একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট নেওয়া হয়। যাত্রী সফিক জানান, করোনা পরীক্ষায় ওই হাসপাতালের দেওয়া নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা হয়। এসময় বিমানবন্দর ল্যাবে করোনা পরীক্ষায় দেহে পজিটিভ শনাক্ত হয়।তিনি আরও জানান, বিদেশ যেতে ফ্লাইটে ওঠার প্রায় ৬ ঘণ্টা আগে বিমানবন্দর ল্যাবে আরেক দফা করোনা টেষ্ট করা হয়। এ পরীক্ষায় তার দেহে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। এসময় বিমানবন্দরে চরম বিপাকে পড়েন প্রবাসী যাত্রীরা। পরে বিমানবন্দর স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা কিছু ওষধ দিয়ে বিমানবন্দর থেকে যাত্রীদেরকে বাসায় ফেরত পাঠান। এ ব্যাপারে আইসিও হাসপাতালের আবদুল্লাহ নামে এক কর্মী জানান, করোনা পরীক্ষা পরীক্ষার জন্য সরকার অনুমোদিত এ হাসপাতাল। বিদেশ যেতে এখান থেকে করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে বিমানবন্দরে যান প্রবাসী বাংলাদেশী অনেক যাত্রী।বিমানবন্দর স্বাস্থ্য কর্মীরা জানান, বিদেশগামী প্রবাসী বাংলাদেশী যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত ১৬টি বিভিন্ন ল্যাব রয়েছে বিমানবন্দরে। এসব ল্যাবে করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ সনদ ছাড়া ফ্লাইটে ওঠার সুযোগ নেই প্রবাসী যাত্রীদের। এ কারণে ফ্লাইট ছাড়ার নির্দারিত সময়ের চেয়ে কমপক্ষে ৬ ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে আসেন যাত্রীরা। বিমানবন্দর ল্যাবে করোনা পরীক্ষায় সনদ যাচাই বাছাই করেন ড. মো. শাহরিয়ার সাজ্জাদ। এ ব্যপারে ড. মো. শাহরিয়ার সাজ্জাদ জানান, প্রতিদিন বিমানবন্দরে বিদেশগামী বিভিন্ন ফ্লাইটের শত শত যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা করা হয়। এসময় যাদের দেহে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে তাদেরকে বাসায় ফেরত পাঠানো হয়।জানা গেছে, প্রায় ১৬ দিন বাসায় থাকার পর রাজধানীর উত্তরায় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল ও মহাখালী আইসিডিডিআরবিতে ফের করোনা পরিক্ষা করেন সৌদিগামী যাত্রী সফিক সিরাজ। এ পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ হন তিনি। পরে গত ৪ ফেব্রুয়ারি ওই নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে গন্তব্যে সৌদিতে পৌছেন।সম্প্রতি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সৌদিগামী ফ্লাইটে এ ঘটনা ঘটে।জানা গেছে, শুধু সফিক নন তার মতো বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে করোনা পরীক্ষায় রিপোর্ট নিয়ে বিমানবন্দরে এসে চরম বিপাকে পড়ছেন প্রবাসী বাংলাদেশী যাত্রীরা। ভুক্তভোগী কয়েকজন যাত্রী জানান, প্রায়ই বিমানবন্দরে এ ঘটনার শিকার হচ্ছেন প্রবাসী যাত্রীরা। তারা আরও বলেন, সৌদিসহ সংযুক্ত আরব আমিরাতগামী বিমানের ফ্লাইটের টিকিট মুল্য দিগুন চড়া। এ কারণে ছুটিতে বিদেশ থেকে বিমানের আসা-যাওয়া টিকিট কেটে দেশে আসেন প্রবাসী অনেক যাত্রী। ছুটি শেষে গন্তব্যে পৌছতে বিমানবন্দরে এসে চরম হয়রানির শিকার হন এসব প্রবাসী যাত্রী। বিমানের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সৌদি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতগামী বিমান ফ্লাইটের প্রবাসী বাংলাদেশী যাত্রীদের জন্য টিকিটের মুল্য কমিয়ে ৬৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। বিদেশ থেকে বিমানে আসা-যাওয়ার টিকিট নিয়ে দেশে ফেরেন প্রবাসী অনেক যাত্রী। বিমানবন্দরে যাত্রীদের করোনা পরীক্ষায় টিকিটের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই বলেও বিমান কর্মকর্তারা জানান।