বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের তিন মাস হলেও ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে গুরুত্বপূর্ণ পদে এখনও বহাল পলাতক সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের প্রেতাত্মারা। সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের ঘনিষ্ট আত্মীয় এবং নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্যাডার রয়েছেন পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে। চরম দুর্নীতিবাজ, অপেশাদার ও অযোগ্য কর্মকর্তারা নানা অপরাধ করেও বছরের পর বছর অনৈতিকভাবে বড় পদে থেকে পেশাদার ও সৎ কর্মকর্তাদের হয়রানি করছেন খোদ সংস্থাটির ডিজির ছত্রছায়ায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঠিক মনিটরিং না থাকায় ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে একছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছেন শীর্ষ এক কর্মকর্তা। ফলে যে কোন সময় রাষ্ট্রের এই গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাটিতে বিশৃংখলা দেখা দিতে পারে বলে আশংকা করছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। শুধু তাই নয়, সামান্য ভূল বা শীর্ষ কর্মকর্তার সন্তুষ্টি অর্জন করে চলতে না পারলে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দাযের করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের মতো অন্যায় কাজও হচ্ছে পাসপোর্ট অধিদপ্তরে। এতে করে অনেকটাই বিরক্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের পাসপোর্ট শাখার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। আগারগাঁও প্রধান কার্যালয় স্বৈরাচার হাসিনার সরকারের সময়ে যে প্রশাসনিক সেটআপ ছিল সেই সেটআপ দিয়েই এখন পর্যন্ত অধিদপ্তর চলছে। মহাপরিচালক আওয়ামীমনা অফিসারদের নিয়ে অফিস পরিচালনার কারণে সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ এবং হতাশা বিরাজ করছে