প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরে হুঁশিয়ারি দিলেন কানাডার কনজারভেটিভ নেতা পিয়েরে পয়লিভ্রে। শনিবার প্রচারসভায় তিনি হুমকি দেন —‘বিদ্বেষমূলক অপরাধে’ জড়িত বিদেশি প্রো-প্যালেস্টাইন বিক্ষোভকারীদের কানাডা থেকে বহিষ্কার করা হবে।
তাঁর দাবি, এ ধরনের ‘বিদ্বেষমার্চ’ কানাডায় অ্যান্টিসেমিটিজম বা ইহুদিবিদ্বেষ বাড়িয়ে তুলছে।
পয়লিভ্রে রাজধানী অটোয়ার এমন একটি আসনে প্রচারে নেমেছিলেন, যেখানে লড়ছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও লিবারেল নেতা মার্ক কার্নি।
সম্প্রতি গাজা যুদ্ধ নিয়ে কার্নির মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। গাজায় ‘চলমান গণহত্যা’র ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কার্নি।
পয়লিভ্রে বলেন, “ভাঙচুর, বেআইনি বিদ্বেষ মিছিল এবং জাতিগত বা ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে হিংসাত্মক হামলার বিরুদ্ধে আমরা আরও কঠোর আইন আনব।”
তিনি আরও বলেন, “যাঁরা ভিজিটর ভিসায় এসেছেন এবং এখানে কোনো আইনভঙ্গ করবেন, তাঁদের তৎক্ষণাৎ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।” এ বক্তব্য ট্রাম্প প্রশাসনের সেই নীতিরই প্রতিধ্বনি, যেখানে প্রো-প্যালেস্টাইন ছাত্র বিক্ষোভকারীদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
মার্কিন প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের কানাডাবিরোধী মন্তব্য ও অর্থনৈতিক নীতির জন্য ট্রাম্পের প্রতি ক্ষুব্ধ কানাডার নাগরিকরা। পয়লিভ্রে অতীতে বারবার নিজেকে ট্রাম্পের থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু শনিবারের এই হুমকিমূলক বক্তব্যে ট্রাম্পের স্বর শুনছেন অনেকে।
প্রো-প্যালেস্টাইন বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, তাঁদের প্রতিবাদ কর্মসূচি কানাডায় ঘৃণাজনিত অপরাধের পরিস্থিতি আরও খারাপ করছে।ইজরায়েল-গাজা যুদ্ধ নিয়ে কানাডায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর ও রাস্তাঘাটে যেসব প্রো-প্যালেস্টাইন বিক্ষোভ দেখা যায়, সেগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শান্তিপূর্ণ ছিল। তবে কিছু ঘটনায় পুলিশ কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে এবং বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
গত মঙ্গলবার কার্নির এক সভায় একজন বিক্ষোভকারী চিৎকার করে বলেন, গাজায় ইজরায়েল ‘গণহত্যা’ চালাচ্ছে। উত্তরে কার্নি বলেন, কানাডা ইজরায়েলে অস্ত্র রফতানিতে আংশিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এরপর নেতানিয়াহু এক্সে (সাবেক টুইটার) লেখেন, “ইজরায়েল একটি গণতান্ত্রিক দেশ, যারা হামাস নামের বর্বরদের বিরুদ্ধে ন্যায্য লড়াই করছে। এমন সময়ে কানাডার মতো দেশকে পাশে থাকার বদলে আমাদের আক্রমণ করছে!”
পরে কার্নি বলেন, তিনি ‘গণহত্যা’ শব্দটি শুনতে পাননি এবং গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য সব রকম চেষ্টার পক্ষে তিনি।