যাঁরা Peaky Blinders সিরিজটি দেখেছেন, তাঁদের অনেকেই হয়তো ভাবেন, ‘এই চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে কিলিয়ান মারফির ফুসফুসটা কি একেবারে শেষ হয়ে যায়নি?’
কারণ সিরিজে টমি শেলবি চরিত্রে তাঁকে দেখা যায় প্রায় প্রতি দৃশ্যেই সিগারেটের ধোঁয়ার মধ্যে ঢাকা পড়ে আছেন। মনে হয়, তিনি যেন জুন ব্রাউনের মতো দেদার সিগারেট ফুঁকছেন (ডট কটনের অভিনেত্রী যিনি সিগারেটের জন্যই বিখ্যাত ছিলেন)।
তবে আসলটা একটু আলাদা। একজন টিকটক ব্যবহারকারী জানাচ্ছেন, আমাদের প্রিয় সেলেবদের যে ধোঁয়াময় দৃশ্য আমরা দেখি, তার পেছনের গল্পটা আসলে অনেক বেশি ‘হার্বাল’।
না, সেই হার্ব নয়!
পরিচালক ডেভিড মা (@davidwma) প্রায়ই হলিউডের পর্দার অন্তরালেরনানা সিনেম্যাটিক কৌশলের গল্প শেয়ার করেন। তাঁর একটি ভিডিও, যা ইতিমধ্যেই ২২ লক্ষেরও বেশি লাইক পেয়েছে, সেখানে তিনি জানাচ্ছেন যে পর্দায় অভিনেতারা আসলে কী ধরণের সিগারেট ব্যবহার করেন।
ডেভিড বলেন, “অভিনয়ের সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিনেতারা ‘প্রপ সিগারেট’ ব্যবহার করেন। এগুলো হার্বাল সিগারেট—যাতে কোনো তামাক, নিকোটিন বা অ্যাডিটিভ থাকে না।”
এ থেকেই বোঝা যায়, কেন বাস্তব জীবনে এঁদের ফুসফুস ধ্বংস হয়ে যায় না, কিংবা কেন শত শত অভিনেতাকে কাশতে কাশতে হাসপাতালে যেতে হয় না।
“এই সিগারেটগুলো অভিনেতার আঙুলে খুবই বাস্তব মনে হয়,” ডেভিড আরও বলেন। উদাহরণ দিয়ে তিনি জানান, Mad Men সিরিজের শুটিংয়ের সময় জন হ্যাম এরকম প্যাকেটের পর প্যাকেট শেষ করেছিলেন। সবগুলোই ছিল প্রপ সিগারেট।
“যদি একটা কেটে দেখেন, দেখবেন ভিতরে তামাকের কিছু নেই—বরং দেখাবে কোনো হার্বাল মিশ্রণ। আবার সেই হার্ব নয়— থাকে গোলাপের পাপড়ি, ক্লোভার আর চায়ের পাতা ইত্যাদি।”
তবে ধোঁয়া? সেটাই বা কোথা থেকে আসে? ডেভিডের মতে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই ধোঁয়া CGI-র মাধ্যমে পরবর্তী পর্যায়ে, অর্থাৎ পোস্ট-প্রোডাকশনে যোগ করা হয়।
আর কিলিয়ান মারফি? টমি শেলবি চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে তিনি ব্যবহার করেছিলেন প্রায় ৩০০০টি নকল হার্বাল সিগারেট!