কয়েকটি দেশেই আটকে আছে সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার

সাদ্দিফ অভি

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘অভিবাসন একটি জটিল ইস্যু। এটা একক দেশের ওপর নির্ভর করে না। অনেক জটিলতা থাকলেও সেগুলো সুরাহা করে আমাদের কাজ করতে হয়। জর্ডানের সঙ্গে যেকোনও সময় এমওইউ সই হতে পারে বলে দুপক্ষই একমত হয়েছি। মরিশাসের সঙ্গেও প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে, মাল্টার সঙ্গেও কার্যক্রম চলছে।’রুহুল আমিন জানান, আপাতত এগুলো নিয়ে আমাদের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে গত তিন-চার মাসে। এছাড়া রাশিয়াতে দক্ষ কর্মী পাঠানো এরইমধ্যে সীমিত আকারে শুরু হয়েছে। আশা করছি, ভবিষ্যতে রাশিয়া আমাদের জন্য একটি ভালো বাজার হবে।’তিনি বলেন, ‘ব্রুনেইয়ে অনেক দিন কর্মী পাঠানো বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হচ্ছে। কর্মী পাঠাতে একটা চাহিদাপত্রও পেয়েছি। মরিশাসে বন্ধ থাকলেও সেটা চালু হবে। কুয়েতে কর্মী পাঠানো বন্ধ হয়ে গেছে। তবে নার্স পাঠানোর কার্যক্রম অনেকখানি এগিয়ে গেছে। তারা আমাদের কাছে নার্সের জন্য চাহিদা পাঠিয়েছে। আমরাও প্রয়োজনীয় উপাত্ত পাঠিয়েছি, যারা নার্সিংয়ে গ্র্যাজুয়েট কিংবা ডিপ্লোমা করা আছেন, তাদের মধ্যে যেতে যারা আগ্রহী, সরকারিভাবে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সহযোগিতায় তাদের তথ্য আমরা পাঠিয়েছি। আশা করছি, কুয়েতে আমরা নার্স পাঠাতো পারবো।’বিএমইটি’র তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ রেকর্ড ১৩ লাখের বেশি কর্মী বিদেশে গেছেন। এর মধ্যে দক্ষ কর্মী অভিবাসনের হার ছিল প্রায় ২৫ শতাংশ এবং অদক্ষ শ্রমিক প্রায় ৫০ শতাংশ। আগের বছর গেছেন ১১ দশমিক ৩৫ লাখ। তার মধ্যে দক্ষ কর্মী ছিল প্রায় আড়াই লাখ।