প্রবাসীরা বাংলাদেশে কিছু করার জন্য কোটি কোটি টাকা দিতে চাইলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সিপিডি বোর্ড অব ট্রাস্টি রাশেদা কে চৌধুরী। আজ রোববার রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। সিপিডির ৩০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের বাংলাদেশের উন্নয়নে স্বাধীন পর্যালোচনা শীর্ষক দ্বিতীয় অধিববেশনে গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সিপিডি বোর্ড অব ট্রাস্টি রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, সিপিডির হাত ধরেই সংস্কারের দাবিটা শুরু হয়। ইতোমধ্যে বেশকিছু অর্জন থাকলেও আগামীতে সংস্থাটির কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক। অর্থনীতি–রাজনীতির পাশাপাশি জনস্বার্থে সামাজিক খাত নিয়ে আরও কাজ করা সুযোগ রয়েছে। যেমন– অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত নিয়ে তেমন তথ্য–উপাত্য নেই। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়নসহ ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আরও কাজ করতে হবে। বিশেষ করে নারীর প্রতি সংহিংসতার কারণে দেশের জিডিপিতে কি পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে এ নিয়েও গবেষণা হওয়া দরকার।
তিনি আরও বলেন, রেমিট্যান্সযোদ্ধারা বিভিন্ন ধরনের ঝামেলায় পড়েন। নিজস্ব জেট আছে এমন অনেক বাংলাদেশি ডাক্তার বিদেশে কাজ করেন। করোনার সময় ৫০ লাখ ভ্যাকসিন ও সাড়ে ৩০০ ভেন্টিলেটর দিয়েছেন। কিন্তু সরকারের ঘরে এদের কোনো স্বীকৃতি নেই। এমনকি দেশের জন্য কিছু করতে চাইলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে প্রবাসীরা করতে পারছেন। তার দেখা অন্তত তিন হাজার প্রবাসী দেশের জন্য কিছু করার সুযোগ পায়নি। কোটি কোটি টাকা তারা দিতে চাইলেও এনজিও ব্যুরোর বাধায় তা সম্ভব হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এ উপদেষ্টা।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, জনগণের জন্য নীতি তৈরিতে সরকারকে বিভিন্ন ধরনের সুপারিশ দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানিক তথ্যভিত্তিক উন্নয়নে স্বাধীন পর্যালোচনা কার্যক্রম শুরু করা হয়। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তাদের বিভিন্ন ধনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীনও হতে হয়। তবে তাদের কার্যক্রমকে কখনো উপেক্ষা করা হয়নি। বরং বাজেট প্রণয়ন থেকে শুরু করে মুদ্রানীতি, শ্রমিক ইস্যুসহ বিভিন্ন সময় তাদের সুপারিশের অনেকগুলো আমলে নেওয়া হয়।
সিপিডি বোর্ড অব ট্রাস্টি এম সাইদুজ্জামানের সভাপতিত্বে এ অধিবেশনে আরও বক্তব্য রাখেন, সাবেক অর্থসচিব সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক এম এম আকাশ, অধ্যাপক আবু আহমেদ, সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রমুখ।